সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
আলমগীর ইসলাম- ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
দক্ষতা অর্জন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ বাড়াতে স্থানীয় সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক সেবা সমূহে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীতে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ হল রুমে আরডিআরএস বাংলাদেশ’র উদ্যোগে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরডিআরএস রংপুর শাখার টি,ও জাহিদা মোস্তফার সঞ্চালনায় ও আর ডি আর এস রংপুর শাখার ম্যানেজার প্রদীপ কুমার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবন্ধীদের ভাতা সহ নানান সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন। তারা সবাই আমাদেরই অংশ আমরা আলাদা করে কাউকে দেখতে চাই না। তাই তাদের প্রতি আরও বেশি খেয়াল রাখতে হবে কারণ প্রতিবন্ধী বোঝা নায়, শিক্ষা পেলে তারা সম্পদ হয়।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মদন কুমার রায়, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীমা আক্তার প্রমুখ।
এতে আরডিআরএস বাংলাদেশ’র কর্মকর্তারা খুচরা বা রিটেইল খাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উৎসাহিত করতে, তাদের আত্মবিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর বিষয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আর ডি আর এস রংপুর শাখার ম্যানেজার প্রদীপ কুমার বলেন, আমাদের যারা কর্মী আছেন তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি এসময় উদাহরণ সরুপ বলেন, মানুষ তখনই বৈষম্যের শিকার হয়, যখন অন্য জনগোষ্ঠী সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকে না। মানুষ জানে না প্রতিবন্ধিতা কী। তাদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হয়, কীভাবে প্রশিক্ষিত করতে হয়। পরবর্তী সময়ে কীভাবে তাদের নিয়োগ দেবে, তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত কীভাবে করতে হবে– এটা কিন্তু আমরা জানি না। তাই আমাদের অনেক বড় গুরুত্বের জায়গা হলো এসব জায়গায় কাজ করা।’
তিনি আরও বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আরডিআরএস বাংলাদেশ এর একটি পূর্ণবাসন কেন্দ্র ও হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধী শিশুরা আবাসি হিসেবে থাকে এবং ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা পড়া করার সুযোগ পায়।
পাশাপাশি তারা সংগীত চর্চা ও পাটজাত দ্রব্য তৈরি ও বিভিন্ন কারুকাজের প্রশিক্ষণ নেয়। এছাড়া হাসপাতালে দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে চশমা বিতরণ করা হয়।
আমাদের বর্তমান সংস্থার মোট ৪০৬টি ইউনিয়ন ফেডারেশনের মধ্যে ৩৮৮৪ জন প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ডিমলা উপজেলার মোট ১০টি ইউনিয়ন ফেডারেশনে মোট ৬৮ জন প্রতিবন্ধী সদস্য অন্তর্ভুক্ত আছেন।